আমরা জাতিগত ভাবে একটু আবেগপ্রবন বা ইমোশনাল। এতে দোষ এর কিছু নেই। আপনি যদি এই ইমোশন বা আবেগ কে বিশ্বস্ততার সাথে কাজে লাগিয়ে সঠিক ভাবে প্রচার করতে পারেন, তাহলে সেটায় খুব দ্রুত আপনি প্রসার ভাবেন আপনার পন্য নিয়ে।
তবে শর্ত হচ্ছে, পণ্য ভালো হতে হবে এবং মানুষের আবেগ নিয়ে ঠকানো যাবে না।
বর্তমানে বেশিরভাগ হচ্ছে ক্ষুদ্র বা মাঝারি উদ্যোক্তা। এভাবে কিন্তু অনেক বেশি সেল বা অর্ডার নিয়ে আসতে পারেন এই ইমোশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। যেমন:
_গ্রামীণফোনের স্বপ্ন যাবে বাড়ি- এই এড এর কথা কি মনে পড়ে আপনাদের?
শুধু এই একটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রামীণফোন কাস্টমার বা গ্রাহকদের কত কাছে চলে গিয়েছিল, একটু ভেবে দেখুন।
মুলত ২ ঈদে মানুষ বাড়ি যায়, সেই থিম কে কাজে লাগিয়ে এই বিজ্ঞাপন টি বানানো। কাজে এটা বলা যায়, সিজনাল বিজ্ঞাপন। সারা বছর কিন্তু এই বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না। শুধু ঈদের আগেই গ্রামীণফোন এই বিজ্ঞাপন টা বেশি দেয়। এই বিজ্ঞাপন একদম মানুষের ইমোশনকে আঘাত করেছে বেশ ভালো ভাবে।
এবার তাহলে আপনি আপনার পণ্য নিয়ে ভাবুন। যদি আপনি আপনার পণ্যের উপকারি দিক নিয়ে এভাবে মার্কেটিং করতে পারেন, মানুষ যদি আপনার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারে, আর কি সেল এর জন্য চিন্তা করতে হয়?
★প্রথমে কাস্টমার বা ক্রেতার ইমোশন আপনাকে ভালো করে বুঝে নিতে হবে। যদি আপনি বুঝতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ব্রাণ্ডিং খুব সহজে হয়ে যাবে। অন্যথায়, ক্রেতাকে শুধু আপনার পণ্য কিনতে বললে কিন্তু সেল হবে না।
★তাই ক্রেতার সাথে সুন্দর ব্যবহার আর একটু ভালো কাস্টমার সার্ভিস দিতে হবে,যাতে ক্রেতাকে ইমোশনাল করতে পারে। কাস্টমার কি চান? ভালো ব্যবহার আর ভালো সার্ভিস। আপনি দিতে পারলে আপনাকে আর কে ঠেকাতে পারবে না
শুধু পন্য নিয়ে নয়, ক্রেতার সাথে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আলোচনা করুন, যেমন বাসার সবাই কেমন আছে, বাচ্চা কেমন আছে? এই ধরনের ব্যবহার আপনার ক্রেতাকে ইমোশনাল ভাবে দুর্বল করতে বাধ্য।
সুতরাং ধৈর্য ধরে কাজ করলে সম্ভব ভালো করা ।