চাকরীদাতা বলেন দেশে স্কিল্ড ছেলে মেয়ে নাই এদিকে আমরা বলি দেশে পর্যাপ্ত চাকরি নেই। এই ব্যাপারটার ময়নাতদন্তে নামি ২০১৮ সালে এবং অবাক হই আসলেই দেশে স্কিল্ড ছেলে মেয়ের বড়ই অভাব।আসুন তবে আমরা কিভাবে নিজেকে স্কিল্ড করব তা নিয়ে একটু গল্প করি। তার জন্য আমরা যেটা করব আজকেই একটা সিভি লিখব নিজের জন্য। তবে সেটা হবে আমাদের ফিউচার সিভি। অর্থ্যাৎ আমরা আমাদের গ্রেজুয়েশনের পরে আমাদের সিভি টা কেমন হবে তা আজকেই বানিয়ে নিব। আমরা ঐ জেনারেশন থেকে বেরিয়ে আসতে চাই যারা গ্রেজুয়েশন শেষ করে বড় ভাই আপুর সিভি কপি পেস্ট করেছে।
প্রথমে জেনে রাখুন একটা প্রপার সিভি দুই পেজ এর বেশি কখন ও হবে না। সিভির শুরুটা হবে সিভির বাম পাশে আমাদের নাম, বর্তমান ঠিকানা, ইমেইল আইডি, মোবাইল নাম্বার +৮৮ যুক্ত অবশ্যই এবং সাথে লিংডিন আইডি দিয়ে। যদি আপনার লিংডিন না থাকে আজ ই খুলুন। আরেকদিন আসব লিংডিন সাজেশন নিয়ে। আর ডান পাশে অবশ্যই আপনার ছবি যুক্ত হবে। মনে রাখতে হবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হবে। তারপর আমরা লিখব ক্যারিয়ার অব্জেক্টিভ। ক্যারিয়ার অব্জেক্টিভ আসলে কি? ক্যারিয়ার অব্জেক্টিভ হল আপনি নিজেকে ক্যারিয়ার এর কোথায় নিয়ে যেতে চান তার সারমর্ম লিখা। এখানে আমরা অনেক বড় একটা ভুল করি। ভুল টা হল আমরা যেহেতু বড় ভাই আপু দের সিভি দেখে কপি পেস্ট করি বা সাইবার ক্যাফে থেকে গিয়ে বানিয়ে নেই তাই মানহীন ওই সমস্ত সিভি তে যা অব্জেক্টিভ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে আমরা ও তাই রেখে দেই। আর ওই সমস্ত অব্জেক্টিভ মূলত গুগল থেকে কপি করা হয়ে থাকে। একটা উদাহরন দিচ্ছি দেখুন।
To work in a challenging environment where I can utilize my skills and abilities for personal and organizational development.
যারা সিভি নিয়ে কাজ করেন দেখেই বলে দিবেন এটা গুগল কপি পেস্ট অব্জেক্টিভ। তাইলে আসুন দেখি একটা ভাল অবজেক্টিভ কেমন হয়।
To create a decent career in a premium organization, securing a Marketing position, by applying my expertise on branding, product marketing and customer relationship to affect future growth of the organization.
এই অব্জেক্টিভ টা অনেক বেশি স্পেসিফিক আগের টার তুলনায়। এবার একটু আমার নিজের অব্জেক্টিভ টা একটু দেখাতে চাই।
Business Student in the field of major in Marketing with 3.8 years of experience in Administrative field and Sales, would like to setup my career in a leading Multinational or National or Startup organization.
আরো অনেক বেশি স্পেসিফিক তাই না? এই একটা লাইন ই আপনার সম্পর্কে এইচ.আর এর চিন্তা ভাবনা খুব পজেটিভ করে দিবে। এখন কথা হল এভাবে স্পেসিফিক করে অব্জেক্টিভ লিখার মত কিছু তো আপনার নাই। ঠিক আছে আমাদের সাথে থাকুন সব কিছু প্রস্তুত হয়ে যাবে কথা দিচ্ছি।
অব্জেক্টিভ তো দেখলাম। তারপর কি থাকে একজন ফ্রেশার এর সিভি তে? সাধারনত যেটা থাকে তা হল এজুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড। কিন্তু আমরা আর একটু অন্য ভাবে চিন্তা করব৷ আমরা এখানে এজুকেশন এর আগে লিখব প্রফেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড। একবার ভাবুন তো আজ যে প্লাস্টিক এর প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে কাল হয়তো সে রঙ এর প্রতিষ্ঠান এ কাজ করবে। এর মানে প্রতিষ্ঠান একজন এক্সপেরিয়েন্স এম্প্লয়ী খুজে এই ভেবে না যে সে এসেই ব্যাবসায় লাখ টাকা মুনাফা নিয়ে আসবে। তাইলে তারা চান টা কি? তারা চান আপনি একজন এক্সপেরিয়েন্সড হিসেবে এত টুকু জানেন যে অফিস টাইম সকাল ৯ টা মানে ৯ টাই, অফিস এ আসার আগে শার্ট - প্যান্ট - জুতো সব পরিস্কার থাকতে হবে, অফিস এ বস এর রুম টা যেহেতু কালো গ্লাস এ ঢাকা থাকে সো ওটা ধাক্কা দেয়া যাবে না, ওটা টেনে খুলতে হবে, আপনি ১০-১২ জন এর সামনে খুব সহজেই প্রেজেন্টেশন দিতে পারেন। এখন এসব জানার জন্য চাকরি কি করতেই হবে? উহু মোটেও না। আপনি চাইলেই কোন ক্লাব এ কাজ করে বা নিজের ডিপার্টমেন্ট এর কাজ এর দায়িত্ব নিয়ে বা কোন সোশ্যাল এক্টিভিটি তে অংশগ্রহণ করে এই কাজ গুলো রপ্ত করে নিতে পারেন৷ এবং গ্রেজুয়েশন শেষ হবার আগেই নিজের জন্য একটা প্রফেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড প্রস্তুত করে নিতে পারেন। আর যদি কারো প্র্যাক্টিকাল এক্সপেরিয়েন্স থেকে থাকে তাহলে আপনি জব এক্সপেরিয়েন্স কে শুধু জব রেস্পনন্সিবিলিটি এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। কারন আমি ও তো জানি একজন সেলসম্যান এর কি কি কাজ করতে হয়। তাই শুধু রেসপন্সিবিলিটি না দেখিয়ে বরং দেখান উক্ত প্রতিষ্ঠান এ আপনার কি কি এচিভমেন্ট আছে। কি কি কাজ করে আপনি কোম্পানীতে রেভিনিয়ু জেনারেশনে অবদান রেখেছেন। এবার আসুন কিভাবে আমরা এ জিনিস গুলো লিখব তা একটু শিখি। মানে আমাদের কে নতুন করে আবার একটু ব্যাকরণ শিখতে হবে৷ কারন সিভির রয়েছে নিজস্ব কিছু ব্যাকরণ গত কাঠামো।
আসুন আমরা একটু ব্যাকরণ শিখি। আপনি যখন সিভি তে জব রেস্পনন্সিবিলিটি বা এচিভমেন্ট লিখতে যাবেন প্রথমত মাথায় রাখবেন প্রত্যেকটা লাইন action verb দিয়ে শুরু করতে হবে। উদাহরনঃ achieved sales target. এখানে sales target achieved লিখতে যাবেন না কখন ও। কিছু action verb এর উদাহরন দিচ্ছি, achieve, obtain, leaded, maintain, execute etc. নিচের লিংক এ গেলে action verb এর একটা লিস্ট পেয়ে যাবেন।
অতঃপর যেটা মনে রাখতে হবে তা হল, যদি আপনি বর্তমান চাকরি নিয়ে কোন স্ট্যাটমেন্ট লিখেন তবে action verb এর সাথে ing ব্যাবহার করতে হবে। উদাহরনঃ Organizing a team. আর যদি অতীত স্ট্যাটমেন্ট হয় তবে Organized a team.
এর পর আপনাকে কিছু ম্যাথ শিখা লাগবে। ভয় পেলেন? আসুন ভয় দূর করি। আপনি যেই স্ট্যাটমেন্ট ই লিখবেন সেটা কে ডিজিট যুক্ত করে লিখুন। ডিজিট জিনিস টা রিক্রুটারদের খুব পছন্দ। যেমনঃ • Recruited, hired, trained, and supervised administrative office staff। এর বদলে যদি আমরা লেখি Recruited, hired, trained, and supervised administrative office staff of 18। তবে আপনার কাজের পরিধি সম্পর্কে রিক্রুটার একটা সম্মক ধারণা পেয়ে যান।
এবার দেখা যাক কিভাবে আমরা সিভিতে এজুকেশনাল ইনফরমেশন লিখব। ভাল করে বুঝুন একটা কথা একটা সিভি দুই পেজ এর বেশি কখন ও যাবে না। আজ হয়ত আপনার মনে হচ্ছে দুই পেজ ই তো যায় না আমার সিভি বেশি আর কোথা থেকে। কিন্তু একটা সময় গিয়ে আপনার সিভি ও দুই পেজ পেরিয়ে যাবে। তাহলে এখান থেকে আমরা শিখলাম আমাদের কে যতটা সম্ভব জায়গা সেভ করে সিভি লিখতে হবে। একটা সময় এজুকেশনাল তথ্য গুলো টেবল এঁকে দেখানো হত যেটা এখন চরম রকম অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। সো আমরা টেবল এড়িয়ে গিয়ে একটা সিম্পল লাইন এই কাজ টা শেষ করব কিছুটা এভাবে।
• Masters of Business Administration (MBA), Major in Marketing, Dhaka University, CGPA: 3.50, [2016]
আমাদের ফিউচার সিভির এই পর্যায়ে আমরা যে হেডিং টা দেখাব তা হল
Professional Certifications প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন মানে হল প্রফেশন লেভেল এ গিয়ে যে ধরনের কাজ আপনি করবেন তার উপর বাস্তবিক জ্ঞান নিয়ে যাওয়া। আপনারা যারা মার্কেটিং নিয়ে পড়াশুনা করছেন তারা চাইলে Sales/Branding বা Digital Marketing এর উপর এক/তিন বা ছয় মাস এর একটা সার্টিফিকেশন বা ডিপ্লোমা কোর্স করে নিতে পারেন। যারা HRM নিয়ে পড়ছেন তারা KPI (Key Performance Indicator) বা EPI (Employee Performance Indicator) নিয়ে এখনই কোর্স করে ফেলুন। এভাবে যে যার যার সেক্টর এর উপর কিছু স্পেশিয়ালাইজড পড়াশোনা করে নিন। এটা আপনার সিভি তে একটা অতিরিক্ত মাত্রা এনে দিবে।
এবার দেখি কিভাবে আমরা প্রফেশনাল সার্টিফিকেট আমাদের সিভি তে লিখব।
Certificate Course in Supply Chain Management. One month continuing training presented by BIM, Dhaka.
অতঃপর আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস আমাদের সিভি তে যুক্ত করব। সেটা হল
Technical Skill। এখানে যে ভুল টা আমরা করি তা হলো আমরা আমাদের সিভি তে লিখে রাখি আমি Windows XP, Windows 98 এসব এ এক্সপার্ট । একবার ভাবুন তো এক্সপার্ট দিয়ে কি বুঝাচ্ছেন? ভাইরে ভাই এই Operating System গুলাই তো আর বেচে নাই। কি হবে এক্সপার্ট হয়ে। অনেকে এগুলা ও লিখে Email এবং Internet এ এক্সপার্ট। এগুলা আজকাল খুব সাধারণ ব্যাপার স্যাপার। তাই এসব লিখবেন না প্লিজ। তাইলে লিখব কি? আসুন আমরা কিছু কমন স্কিল এ জোড় দেই, এই ধরুন মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, বাংলা টাইপিং স্পিড , ফটোশপ/ইলাস্ট্রেটর, SPSS Analysis, Quick book, Enterprise System like Oracle ইত্যাদি । ২০২০ সালে এডভান্স এক্সেল এবং এডভান্স পাওয়ারপয়েন্ট জানা লোক এর খুব চাহিদা। সো এটা ও শিখে রাখুন। ইন্সটিটিউশন এ গিয়ে শিখাটা জরুরী নয়। ঘরে বসে ইউটিউবেই হাতে খড়ি করা যায়। টেকনিকাল জিনিস গুলা সার্টিফিকেট থাকার চাইতে কাজ জানা জরুরী। কিভাবে লিখব তাও দেখে নেই।
Expert in MS Office, with a focus on Excel.
Savvy with Digital Marketing. (SEO, SMM, Email Marketing).
তারপর আসে Language skill. এ জায়গায় আমরা যেটা করি স্কিল টা এভাবে দেখাই যে
speaking (Good), writing (very good), reading (very good).
কিন্তু বস ২০২০ সাল এটা। এসব পুরাতন স্টাইল আজকাল চলেনা। বরং এভাবে দেখান।
Bengali: Native Proficiency
English: Professional Working Proficiency
তারপর আসে Training and Workshop. বাংলাদেশ এর আনাচে কানাচে প্রচুর ট্রেইনিং এবং ওয়ারকশপ হয়। কাল থেকে জয়েন করা শুরু করুন। দেখবেন এক বছর এ গোটা বিশেক সার্টিফিকেট আপনার সংগ্রহে চলে আসবে। আর Online Training তো আছেই। সুন্দর করে বসিয়ে দিন সেগুলা সিভিতে। ট্রেইনিং করলে যেটা হয় তা হল প্রত্যেকটা সেক্টর সম্পর্কে আপনার একটা shadow practice হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে কোন সেক্টরে কাজ করতে আপনি আগ্রহী হবেন সেটা এখনি বুঝে যাবেন। মনে রাখবেন আমরা লাইব্রেরি তে গিয়ে সেই বইটাই কিনি যেটা নতুন এডিশন এবং দুইটা চ্যাপ্টার বেশি থাকে। এটাকে বলে Additional Aspect. তাহলে আপনার ও কি উচিত না নিজের Additional Aspect এর প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
এবার একটা পার্ট নিয়ে কথা বলব যেটা সাধারণত ছেলে মেয়েদের সি.ভি তে দেখা যায় না। আর সেটা হল
#Publications। দেখুন এই যে আমি একটা লিখা লিখলাম এবং Business Story গ্রুপ এ আপলোড করে দিলাম এটা ও কিন্তু একটা পাবলিকেশন। আপনি ও চাইলে ফেসবুক পেজ, ব্লগ, ওয়েবসাইট, গ্রুপ, নিউস পেপার, জার্নাল ইত্যাদি মাধ্যমে নিজের লেখা পাবলিশ করতে পারেন। এ থেকে একজন চাকুরীদাতা বুঝে নেনে আপনি নিজের সাব্জেক্ট ছাড়া ও অন্য সাব্জেক্টে ও প্রচুর জ্ঞান রাখেন।
আমরা কি জানি বর্তমান সময়ে এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটি কে যে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়?
একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। একটা বড় মার্কেটিং এজেন্সি তে এপ্লাই করেছিলাম বিজনেস এনালিস্ট পজিশন এর জন্য। আমি একদমই নিশ্চিত ছিলাম আমাকে কোন ভাবেই ডাকা হবে না। কারণ হল তাদের জব ডেস্ক্রিপশন এর সাথে আমার ব্যাকগ্রাউন্ড ম্যাচ করে না কোনভাবেই। কিন্তু অবাক করে দিয়ে আমি ডাক পেলাম সেই এজেন্সি থেকে।
ইন্টারভিউ বোর্ড এ সুজোগ খুজসিলাম জিজ্ঞাসা করার যে কেন আমাকে ডাকা হয়েছে? সুজোগ এর আগেই আমার দিকে প্রশ্ন চলে আসে, আচ্ছা আপনি কি বলতে পারবেন কেন এত এত কোয়ালিফাইড লোক ছেড়ে আপনাকে ভাইভা তে ডেকেছি?
রিক্রুটার কারণ টা নিজেই বলে দিলেন। আপনার এত এত ট্রেইনিং এবং এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটি এটা বলে যে আপনি টাকার জন্য যতটা না কাজ করবেন শিখার জন্য তার থেকে বেশি কাজ করবেন।
এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝে গেলাম এক্সট্রা কারিকুলাম কত টা জরুরী ২০২০ সালে।
তাইলে আর দেরী কেন শুরু করে দিন নিজের পছন্দ কে প্রায়োরিটি দিয়ে কোন একটা কাজে লেগে পড়া। বিজনেস স্টোরি তে অনেকেই আছেন যারা একদম নতুন লেখালেখি শুরু করেছেন। তারা কিন্তু ৮/১০ টা কন্টেন্ট লেখা শেষ করেই সুন্দর করে তাদের সিভি তে নিজেকে কন্টেন্ট রাইটার বলে পরিচয় করিয়ে দিবে। আপনি ও কেন করছেন না?
এর পর যেটা থাকবে সিভি তে তা হল Reward and Achievement। বস আপনি কি আপনার এই জীবনে একটা ও পুরস্কার বা স্বীকৃতি স্বারক পাননি? যদি উত্তর হয় হ্যা তাহলে hi5 আর যদি হয় না তাইলে ভাই আপনি একজন ব্যার্থ মানুষ। জ্বী ভাই ব্যার্থ।
তাইলে আপনার কি করা উচিত? একটা টিম বানান ২/৩ জন বন্ধু নিয়ে। ফেসবুক এর বিজনেস কেস কম্পিটিশন পেজ গুলো থেকে খোজ নিন কি কি কম্পিটিশন চলছে চলতি সময়ে। প্রথম দুই তিনটা কম্পিটিশন শিখার জন্য শুরু করুন। যখন শিখে যাবেন ভাল আইডিয়া নিয়ে যেতে পারলে শুধু সিভি তে লেখার জন্য পুরস্কার বা সার্টিফিকেট ই নয়। বড় এমাউন্ট এর সিড ফান্ডিং ও পেয়ে যেতে পারেন। বুঝা গেল? নিজের একটা স্টার্ট আপ ম্যান। আমি একটা ফেসবুক পেজ এর লিংক দিচ্ছি এখানেই সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।
একবার ভেবে দেখুন আপনি যদি নিজের একটা কোম্পানী চালাবার মত যোগ্যতা রাখেন তাইলে কে সেই কোম্পানী যে আপনাকে চাকরি দিতে চাইবে না? আমার মনে হয় না এরকম সাহস কারো হবে।
আমি কেবল একটা দিক বলে দিলাম এওয়ার্ড অর্জন করার। আপনি আপনার পছন্দ মত বিষয় কে গুরুত্ব দিয়ে ঘরে কিছু এওয়ার্ড নিয়ে আসুন।
সিভির শেষ পর্যায়ে এসে ব্যাক্তিগত তথ্য দেয়া বা না দেয়া নিয়ে রয়েছে মতানৈক্য। তবে আমি সাজেস্ট করি একদম বেসিক কিছু ইনফো দিয়ে রাখুন। এর মানে এই না নিজের উচ্চতা বা বৈবাহিক সিনারিও দিয়ে দিবেন। নাম, ঠিকানা, বাবা-মা এর নাম, NID নাম্বার, জন্ম সাল এতেই চলে যাবার কথা।
রেফারেন্স এর জায়গায় এসে অনেকেই ভুল করে বসে, একটু ধরিয়ে দেই। আপনি দুইটা রেফারেন্স ব্যাবহার করবেন অবশ্যই, এবং ওই সম্মানিত দুইজন ব্যাক্তির সাথে অবশ্যই আপনার একাডেমিক বা প্রফেশনাল সম্পর্ক থাকা জরুরী। ব্যাক্তিগত পরিচয়ের কোন মানুষ কে অনুগ্রহ করে রেফারেন্স এ রাখবেন না।
এই ছিল মোটামুটি আমাদের সিভির ময়নাতদন্ত। যদি মনে করেন আপনি out of box এর মানুষ তবে কাল কেই নিজের একটা ফিউচার সিভি বানিয়ে যে কোন একজন বড় ভাই এর বর্তমান সিভির সাথে তুলনা করে দেখুন আপনি নিজেই নিজেকে রেফার করবেন।